নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। ফলে ভাইরাসটিতে মোট দুই হাজার ৬১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও দুই হাজার ৪৫৯ জনের দেহে মিলেছে এ ভাইরাস। ফলে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জনে।

করোনাভাইরাস বিষয়ে রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি ৮০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ হাজার ৯৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৬১৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৪৬ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১১ হাজার ৬৪৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের পুরুষ ২৯ জন এবং নারী আটজন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব ২০ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং ৯০ বছরের বেশী বয়সী একজন ছিলেন। ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে ছিলেন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের।

গতকালের তথ্য
গতকাল শনিবারের (১৮ জুলাই) বুলেটিনে বলা হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭০৯ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
রোববারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

বরাবরের মতো বুলেটিনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি
গোটা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ পাঁচ হাজার প্রায়। তবে সোয়া ৮৬ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here