সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যায় যোগ হচ্ছে নতুন সংখ্যা।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার (৫ জুন) সকাল পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং অপর দু’জন করোনা উপসর্গে মারা যান। তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ নিয়ে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১ জনে; আর করোনা উপসর্গে মৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৪ জনে।

এর আগে শুক্রবার করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩জন ও করোনা উপসর্গে অপর ৩ জনের মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৪টার দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে আয়েশা খাতুন (৬৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি জেলার শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মতলেব গাজীর স্ত্রী। গত ১জুন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

এদিকে, একইদিন সকাল ৭টার দিকে করোনা উপসর্গে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শামসুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে। আর সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে করোনা উপসর্গে আশরাফ হোসেন (৮৭) নামের আরো এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকার ইউসুফ সরদারের ছেলে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী শনিবার (৫ জুন) থেকে পরবর্তী ৭দিন লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। যানবাহন চলাচল বন্ধসহ নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

তবে, শনিবার সকাল থেকেই যাত্রী গাদাগাদি করেই হরহামেশা মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও স্থানীয় অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন সড়ক এবং গ্রামাঞ্চলের রুটেও আগের মতোই ইজিবাইক ও মহেন্দ্র যথারীতি চলতে দেখা গেছে। ফলে লকডাউনের যথার্থতা যেমন প্রশ্নের মুখে তেমনি করোনা সংক্রমণ রোধও কঠিন হয়ে পড়বে বলে স্থানীয়রা বলছেন।

সবুজদেশ/এসইউ

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here