সবুজদেশ রিপোর্টঃ

করোনা সংকটে রাজধানীর নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা আছে মহাসংকটে। নির্দিষ্ট আয়ের বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রধান মাথাব্যাথা বাড়িভাড়া। ব্যবসাও বন্ধ থাকলেও দোকানভাড়া দিতে হচ্ছে উদ্যেক্তাদের। সবমিলে অস্থিরতা সবার মধ্যে। সংকট সমাধানে সরকার ও সিটি কর্পোরেশন সহনশীল একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানিয়েছে রাজধানীবাসী।

রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষের আয়ের অর্ধেকটা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। কিন্তু করোনা আতঙ্কে গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে সংকুচিত তাদের আয়-রোজগারের পথ। এরমধ্যে মাস শেষ, পাওনা চাইছেন মালিকরা। এনিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই ভাড়াটিয়ার। অবশ্য কোনো কোনো বাড়িওয়ালা দিচ্ছেন মহানুভবতার পরিচয়। কেউ দিচ্ছে ভাড়া বাকি রাখার সুযোগ, কেউবা করে দিচ্ছেন মওকুফ।

উদ্যোক্তা ছাড়াও যারা মাসিক বেতন পান তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা। সব অফিস তো ছুটি দেয়নি। ব্যাংক-বীমাসহ অধিকাংশ অফিস খোলা। সেক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকরি হচ্ছে না “ঘরে থাকুন” স্লোগান। অফিস না গেলে এই মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ কী?

করোনা ধাক্কা সামলাতে বড় ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন সরকারের বিশেষ বরাদ্দের আশ্বাস। পোশাক খাতের উদ্যেক্তারা পাবেন ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। এসব দেখে, মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের প্রশ্ন: তাদের অপরাধ কি? বন্ধ থাকা বিপনী বিতান শপিংমল থেকে পড়া মহল্লার হাজার হাজার দোকানের ভাড়ার বিষয়টিই বা কিভাবে নিষ্পত্তি হবে?

এরইমধ্যে ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন; যেমনটা পারেননি ঢাকার দুই নগরভবনের কর্তারা। ঢাকার ফ্ল্যাট ও দোকান মালিক সমিতিও তেমন আশাকে ‘পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য’ নয় বলে মনে করছে। তাদের যুক্তি, ভাড়া না নিলেও তাদের ঠিকই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল দিতে হবে।

সকলেই বলছেন, মহা দুর্যোগের এই দিনে, সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষের উচিৎ সবপক্ষের আলোচনা করে দ্রু একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া, যাতে অক্ষুণ্ন থাকে সবার স্বার্থ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here