বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মামলাটি করেন চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরি পক্ষের রোকেয়া বেগম (৫৫) নামের এক নারী।

মামলায় ৯জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মিনি মালিথাকে ১নং আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার আরো দুই ভাই মাহাবুর রহমান ও বদুসহ ৯জনকে আসামি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, রোববার সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে একটি মামলা হয়েছে।

গত রোববার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়। এ সময় অন্তত ১৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

আহতরা হলেন, আসাদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মনা, হাফিজুর রহমান, মহর আলী ও মিলন হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসির চৌধুরির সাথে তারই ভাইপো মিনি মালিথার কিছুদিন যাবৎ বিরোধ দেখা দেয়। গত দুইদিন আগে পুকুরিয়া গ্রামের বাবুল খা কে না পেয়ে ছমিরন নেছাকে মারধর করে নাসির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এরই জের ধরে রোববার সকালে নাসির চেয়ারম্যানের লোকজন আবারও মিনি মালিথার সমর্থক হাফিজুর রহমানের উপর হামলা করে। এ সময় দু’গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫/২০ টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়া চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরি বলেন, রোববার সকালে আসাদুল ও আব্দুল মান্নান মনা এই দুইজনকে মিনি মালিথা ও মঞ্জুর নেতৃত্বে মারধর করে। পরে আমরা সেখানে গেলে তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

অন্য পক্ষের মিনি মালিথা বলেন, গত দুই দিন আগেও বাবুল খা কে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে। আবার রোববার সকালে হাফিজুর রহমানকে মারধর করে। নির্যাতিতরা আজ প্রতিরোধ করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় নাসির চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। বোমার বিস্ফোরণে হাফিজুর ও মিলন নামে দুইজন আহত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here