নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এই প্রথম কেজিতে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম কেজিতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এ উপজেলায়। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

কালীগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে তরমুজের দোকানগুলোতে আগের মতো বিক্রি লক্ষ্য করা যায়নি।

এ বিষয়ে তরমুজের দেশ হিসেবে সুপরিচিত রাঙ্গাবালীর বেশ কয়েকজন তরমুজ চাষিরা জানিয়েছেন, ক্ষেত থেকে তোলা তরমুজ তারা কেজিতে বিক্রি করছেন না।  শ’ হিসেবে বিক্রি করেন বেশিরভাগ চাষি। তাহলে কেজিতে কিভাবে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা?

করোনার আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ। আর এ ফলের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের ঠকানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে, কালীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ তরমুজ না কেনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

নিয়ামুল কবির নামে একজন লিখেছেন, এক সপ্তাহ তরমুজ কেনা থেকে বিরত থাকুন। এক কেজি তরমুজ ৫০ টাকা এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছোট একটা তরমুজ কিনতে গেলেও অন্তত ২০০ টাকা লাগে যেটা একদমই মেনে নেওয়া যায় না। আসুন সবাই মিলে এক সপ্তাহ তরমুজ কেনা বাদ দিয়ে এই সিন্ডিকেট ধ্বংস করি।

শাহিনুর রহমান পিন্টু নামে একজন লিখেছেন, ৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কেনা বন্ধ করুন। তরমুজ না খেলে আপনি মরে যাবেন না। কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের শিক্ষা হওয়া দরকার। মাত্র ৩ দিন তরমুজ কেনা বন্ধ রাখুন। আতিকুর জামান নামে একজন লিখেছেন, অনেকেই তরমুজ কেজিতে বিক্রির কারনে তরমুজকেই বয়কট করার ঘোষণা দিচ্ছে আমার মতে তরমুজ কেনা বন্ধ করা কোনো সমাধান না, কিনতে হবে তবে ১ কেজি ১/২ কেজি করে যদি না দেয় কান পট্টি ফাটিয়ে দিবেন। কেজি দরে মাল বিক্রি করবে আবার ১ কেজি দিবে না ফাজলামি? কেজি দরে পুরোটা না কেজি কেজি বিক্রি করতে বাধ্য করুন তাহলে সকল শ্রেনীর মানুষ কিনে খেতে পারবে।।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here