ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ফাতেমা প্রাঃ হাসপাতালের মালিক ইকরামুল (৪২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বামীর অধিকার চেয়ে জোসনা (৩২) নামে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন। জোসনা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিনি উপজেলার পরানপুর গ্রামের শ্রী বীজন বিশ্বাসের মেয়ে। অন্যদিকে ইকরামুল ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খড়াশুনি গ্রামের বক্কার মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, জোসনা একজন হিন্দু পরিবারের মেয়ে। বিয়ের সুত্র ধরে স্বামী নিয়ে কালিগঞ্জ শহরের ঢাকালে পাড়া তারা বাসা ভাড়া থাকতেন। সংসারে দারিদ্রতার ছোয়া থাকায় স্বামী সন্তান নিয়ে একটু সচ্ছল ভাবে জীবন যাপনের জন্য তিনিও একটা কর্মের সন্ধান করতে থাকেন। এমতাবস্তায় লেখাপড়া না জানায় ফাতেমা প্রাঃ হাসপাতালে আয়ার কাজ মেলে। কিছুদিন কাজ করার পর ক্লিনিকের মালিক ইকরামুলের বদ নজরে পড়ে জান জোসনা। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে ইকরামুল।

একপর্যায়ে জোসনার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে ইকরামুলের। দীর্ঘদিন অবৈধ মেলামেশা চলতে চলতে জোসনার গর্ভে বাচ্চা এসে যায়। এমতাবস্থায় জোসনা তাকে বিয়ের চাপ দিলে ইকরামুল জোসনাকে দিয়ে পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স করিয়ে ঝিনাইদহ শহরে একটি আবাসিক হোটেলে এনে মুসলমান বানিয়ে গত ২০শে ফেব্রæয়ারী ২০২০ তারিখে বিয়ে করে বলে জোসনার দাবী। এরপর জোসনার কাছে অনেক বিশ্বস্ত সেজে এবং মুসলমান ধর্মে বিয়ের আগে বাচ্চা বৈধ না বলে ফুসলিয়ে পেটের বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী জোসনা। এভাবে ঝিনাইদহ শহরের আর্দশপাড়া, খন্দকার পাড়া এলাকায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে রেখে জোসনার কাছে আসা যাওয়া করতে থাকে ইকরামুল। বর্তমান কালিগঞ্জ শহরে পশু হাসপাতালের পাসে বাসা ভাড়া করে রেখে গত ১০ দিন হলো জোসনার খোঁজ খবর নেয় না এবং স্ত্রী বলেও পরিচয় দিচ্ছে না বলে অভিযোগ জোসনার।

এ বিষয়ে জোসনা বলেন, বিয়ের বিষয়ে মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ইকরামুল। জোসনা আরও বলেন,এ বিষয়ে কালিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতির কাছে স্বামীর অধিকার চেয়ে ইকরামুলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, কালিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে বলেন, জোসনার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ইকরামুলকে মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য বলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে জাতীয় মহিলা সংস্থা ঝিনাইদহ সদরে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।

এই বিষয়ে ইকরামুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টির উপর জানতে চাইলে জাতীয় মহিলা সংস্থা ঝিনাইদহ জেলা অফিসার ব্রজেস চন্দ্র গোয়ালা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি আমরা অতি সত্বর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

(এ বিষয়ে অভিযোগকারী নারীর ভিডিও বক্তব্য সবুজদেশ নিউজ ডটকমের কাছে সংরক্ষিত আছে।)

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here