কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) :
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ীর পাশের্^ মাঠে একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় ওই ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। ধর্ষক খালকুলা গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র আলামীন পলাতক রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার কোলা দাসপাড়ায় গ্রামের মাঠে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। কোলা দাসপাড়া গ্রামের ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী মাগুরার শালিখা উপজেলার কোটবাগ দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনার পর ধর্ষিতার বাবা মা শনিবার দুপুরে মেয়েকে নিয়ে কালীগঞ্জ থানাতে এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে আরো এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে থানা পুলিশ শনিবার সকালে ধর্ষক সহ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো শহরের বলিদাপাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের পুত্র খায়রুল (২২) ও একই গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র মোর্তজা বাপ্পী (২৩)। ধর্ষিতা শহরের আড়পাড়া আয়েশা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। গত মাসের ২৫ তারিখে ধর্ষন ঘটনার ১৫ দিন পর শনিবার সকালে ধর্ষিতার পিতা কালীগঞ্জ থানাতে ৩ জন ধর্ষকের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ ওই দুই জনকে আটক করে।
ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার ও থানা পুলিশ জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা দাসপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্রী শুক্রবার রাতে পাশের বাড়িতে মোবাইলে চার্জ দেবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সুযোগে রাতের অন্ধকারে লম্পট ধর্ষক আলামীন স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের্^র একটি ফাকা মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর রাতভর তাকে ধর্ষন শেষে হাত পা বেধে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার পরিবার ও স্থানীয়রা ফাকা মাঠের মধ্যে থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে দুপুরে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পিতা মেয়েকে নিয়ে বিচার পেতে কালীগঞ্জ থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তবে এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রেমজ সম্পর্কের সুত্র ধরে শহরের আয়েশা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ৩ যুবক কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাবার দেওয়া কালীগঞ্জ থানায় এক লিখিত অভিযোগে জানায়, বলিদাপাড় গ্রামের যুবক খায়রুল গত ৩ মাস ধরে তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। এক পর্ষায়ে খায়রুল তার মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তুলে। এঘটনা জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার খায়রুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু খায়রুল বিয়ে করতে অস্বিকার করে। এক পর্ষায়ে খায়রুল গত মাসের ২৫ তারিখে তার বন্ধু রাব্বীর বাসাতে স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনার পর মেয়েটি বাড়ীতে এসে তার পরিবারের নিকট ধর্ষনের ঘটনাটি খুলে বলে। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে সামাজিক ভাবে বিষয়টি নিরসন করতে ব্যার্থ হয়। পরে অবশেষে ১৫ দিন পর ছাত্রীর পিতা শনিবার সকালে ধর্ষক খায়রুল সহ তার দু’সহযোগীর নামে থানাতে একটি মামলা করেন। থানা পুলিশ ওইদিনই অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে দু’জনকে আটক করলেও অপরজন পলাতক রয়েছে।
পৃথক পৃথক সংঘঠিত এ দুটি ধর্ষনের বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচাজ ইউনুচ আলী বলেন, থানাতে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে ধর্ষক সহ ২ জনকে আটক করেছে। বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতাদের ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ঝিনাইদহে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here