শোয়াইব উদ্দিন, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামে মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির প্রায় ১ বিঘা জমির দার্জিলিং ও থায় পেয়ারার গাছ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। মশিয়ার রহমান ওই গ্রামের ফেলু মোল্যার ছেলে। 

মশিয়ার রহমান বলেন, বিজিবির চাকরি থেকে ২৩ বছর আগে অবসর নিয়েছি। এখন বাড়িতে ফলের চাষ করছি। মাঠে আমার প্রায় ৭ বিঘা জমিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের ক্ষেত রয়েছে। এর মধ্যে মাঠের একপাশে প্রায় ৪৮ শতকের একটা জমিতে দার্জিলিংয়ের কমলা ও থাই পেয়ারার চাষ করেছিলাম। 

প্রায় ১ বছর ধরে গাছগুলো লালন-পালনের মাধ্যমে বেশ তরতাজা হয়ে উঠেছিল। কিন্ত সোমবার ভোর রাতের দিকে কে বা কারা আমার ক্ষেতের বেশিরভাগ ফলের গাছগুলোর কলমের গোড়া থেকে ভেঙে দিয়েছে। বাকিগুলো দুমড়ে মুচড়ে রেখে গেছে। এখন এ কলম থেকে আর চারা হওয়া সম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, আমিতো কারো ক্ষতি করিনি। কিন্ত কে আমার এমন ক্ষতি করলো। এতে আমার ক্ষতি হয়েছে। কিন্ত যে দুষ্টু প্রকৃতির মানুষগুলো এটা করেছে তাদের কি লাভ হয়েছে।

ফলচাষি মশিয়ার রহমান জানান, এ কেমন শত্রুতা? আমার একবিঘা ব্যয়বহুল দার্জিলিং লেবুর ১০৫টি ও থাই পেয়ারার তরতাজা গাছের কলম ভেঙে দিয়েছে। প্রতিটি কলমের চারা প্রায় দুইশত টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। এরপরও জমি তৈরি ও পরিচর্যা খরচতো রয়েছেই। কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোষ যদি করে থাকি আমি করেছি কিন্ত গাছের কি অপরাধ। কারা এমন ক্ষতি করলো তা আমি দেখিনি। ফলে কাউকে দোষারোপও করা যাচ্ছে না। তারপরও আমি থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি। পুলিশ এরইমধ্যে আমার ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। 

ওই গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আইয়ুব হোসেন জানান, তাদের গ্রামের মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। তার পরামর্শে গ্রামের অনেক কৃষক ফলচাষে ঝুঁকেছেন। কিন্ত তার ক্ষেতের গাছগুলোর যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আমাকে জানানোর পর স্থানীয় তত্বিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে। তারা এরইমধ্যে ওই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। কৃষকের ভরা ক্ষেত নষ্ট করলে সে ক্ষতি পুশিয়ে উঠার নয়। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই ব্যবস্থা নিবেন। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here