নিজস্ব প্রতিবেদক:

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে দেশের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আজ শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কর্মসূচী ছিল পদযাত্রা আর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১১ টি ইউনিয়নেই দুই দলের ছিল-বড় আয়োজন রয়েছে।আর পাল্টা পাল্টি শোডাউন। একই দিনে একসাথে বড় দুই দলের মাঠ পর্যায়ে এমন কর্মসূচি ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকাও করেছেন সচেতন মহল।

তবে সংঘাত এড়াতে উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নে মোতায়েন ছিল পুলিশ। ছিল বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি।

তবে বিএনপির নেতারা বলছে, নজরদারির নামে পুলিশ তাদের দলের নেতাকর্মীদের পদযাত্রা না করতে নিষেধ ও বিভিন্ন স্থানে বাঁধা দিয়েছেন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টায় সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকা থেকে পদযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আমতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। বিএনপির পদযাত্রা ঘিরে উপজেলার বগেরগাছি বাজারে বিএনপি-আওয়ামী লীগ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এদিকে উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে বিএনপির আরেকটি গ্রুপের পদযাত্রায় বাঁধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উভয়পক্ষই অবস্থান নেয় সড়কে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে শনিবার কালীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। বিকেলে শহরের ভূষণ স্কুল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিমতলা এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম। পরে মিছিল টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন- বিএনপি যাতে তাদের আগের রূপে আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। বিএনপি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে তা প্রতিহত করা হবেও বলে জানান তারা।

পুলিশ জানায়, বড় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই উভয় দলই কর্মসূচি পালন করেছে। তবে বিএনপির কোন নেতাকর্মীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হুমকি দিচ্ছে না।

ভিডিও…

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here