মোঃ হাবিব ওসমান,নিজস্য প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নামে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে সর্ব সাধারনের মধ্যে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারন জনগন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সরব হয়ে উঠেছে।
গত ২০১৪ সালে ২৭ ফেব্রয়ারী অনুষ্ঠিত হয় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেই প্রায় পাঁচশ উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রয়ারির প্রথমদিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে চলেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঃ মান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইসরাইল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান, পৌর আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ফরিদ আহমেদ, নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড: মতিয়ার রহমান মতি, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, মোবারকগঞ্জ আখ চাষি কল্যান সমিতির সভাপতি ও রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু বলেন, দল যাকেই মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষেই কাজ করবো। আমার কোন আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তবে নির্বাচন করবো।
দল যে সিদ্ধান্ত দেন সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবো। আমি আজীবন আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে চলেছি। দল যদি আমার কথা চিন্তা করে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য কোন প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়াই সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার প্রাণের সংগঠন। আমি মনে প্রাণে ভালোবাসি আওয়ামীলীগের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আলোচনা এখন পথে-ঘাটে ও চায়ের দোকানে। কে হবেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান? সবাই এখন সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here