ঢাবিঃ

কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কাশ্মীর চাই আজাদী’ বলে স্লোগানও দেয়।

মিছিলে অংশ নেয়া তন্ময় হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরকে স্বাধীনতা দেয়ার পরিবর্তে ভারত এখন বরং কাশ্মীরের বিদ্যমান স্বায়ত্তশাসনটুকুও কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আসুন আমরা এক হয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলি, কাশ্মীরকে স্বাধীনতা প্রদান করে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করাই হোক আমাদের একমাত্র দাবি। 

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ, যেটা কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়, তা বিলোপ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মিছিল করেছে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের যে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে সোমবার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ ঘোষণা দেন তিনি। ইতোমধ্যে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত বিলও উত্থাপন করেছেন অমিত শাহ। আর ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর কাশ্মিরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলে নতুন করে সেখানে সেনা সংখ্যা আরও বাড়ানো হলো। 

কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও সেখানকার বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণ করার দিনটিকে ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসের ‘সবথেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের মেহবুবা মুফতি। টুইটারে তিনি লিখেছেন,‘১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মির দুই জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল,এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হলো।’

সোমবার সরকারের সিদ্ধান্তের পর প্রতিক্রিয়ায় জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভারত সরকারের আজকের একতরফা ও জঘন্য সিদ্ধান্ত জম্মু-কাশ্মিরের জনগণের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাকতকতা। এই সিদ্ধান্তের ফল হবে দীর্ঘমেয়াদি ও বিপজ্জনক। এটা রাজ্যের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here