কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে সাংবাদিক গণজমায়েত থেকে সাংবাদিকরা স্বাধীনতা, সংবিধান ও জাতীর জনকের মর্যাদা রক্ষায় জঙ্গীবাদী ও সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন।
গণজমায়েতে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্ঠা, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে মানে না তাদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানা মানে আমাদের সংবিধানের ওপর আঘাত হানা। আমাদের স্বাধীনতার ওপর, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত হানা।
তিনি আরও বলেন, এটি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়। এটি একটি সংবিধান বিরোধী এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপরাধ। এর বিচার সাধারণভাবে নয়,প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গঠন করে তাদের বিচার করতে হবে।
গণজমায়েতে সাংবাদিক নেতারা বলেন,যারা বঙ্গবন্ধুর হাত মুখ ভেঙেছে তাদের হাত এই বাংলার মাটিতে থাকবে না বলে হুশিয়ারি দেন তারা। সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়ায় যেখানে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙা হয়েছিল শহরের সেই পাঁচ রাস্তা মোড়ে এই সাংবাদিক গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা প্রমুখ। এতে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কুষ্টিয়া ও এর আশপাশ জেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন। বক্তারা ভাষ্কর্য ভাঙচুরকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন, সেই সাথে এর পেছনে কারা জড়িত তা বের করে জাতীর সামনে আনারও দাবী জানান তারা। প্রধান অতিথি ইকবাল সোবহান চৌধুরী তার বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে শপথ করেন।
উল্লেখ্য,গত ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়ার শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাংচুর হয়। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত চার আসামী মাদ্রাসা ছাত্র মিঠুন ও নাহিদ এবং মাদরাসা শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।