কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া সদর থানার চা দোকানী মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর দুই আসামীর ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন- কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকার মৃত মওলা মন্ডলের ছেলে মোঃ শিমুল হোসেন (৩০)।

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শিমুল হোসেনের স্ত্রী সাথী বেগম(২৬), একই এলাকার খয়বার আলী প্রামানিকের ছেলে সবুজ হোসেন (২৪)।

এ মামলা থেকে আদালত মামলায় অভিযুক্ত লিটন হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও খয়বার আলী প্রামানিককে বেকসুর খালাস দেন।

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট রাত ৯টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় চায়ের দোকান থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরছিলো মিঠুন হোসেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা শিমুল পিছন দিক থেকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মিঠুনের নাড়িভুরি বেড়িয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ১৪ আগস্ট নিহত মিঠুনের স্ত্রী রিনা বেগম ৬জনের নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২৫/১২/২০১৮ তারিখে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোড দ.বি ৩০৪ ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নিহত মিঠুনের ভাতিজা শিমুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজার আদেশ দেন। এবং পেনাল কোড দ.বি ৩০৪/৩৪ ধারায় সাথী বেগম ও সবুজ হোসেনকে ১০ বছরে করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেকেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার আদেশ দেন। সেই সাথে মামলার বাঁকী তিন আসামীকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here