মামলার ১নং আসামী কোটচাঁদপুর নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মো: আজাদ, ২নং আসামী পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কোটচাদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় ক্লিনিক মালিক আজাদ সহ ৪ জনের নামে আদালতের নির্দেশে কোটচাদপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে স্বামী পরিত্যাক্তা (৩৫) এক নারী।

সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। ঘটনার পর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভিকটিম এ নারী ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কোটচাঁদপুর স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা শেফালী খাতুনের স্বজন রাকিবুল হাসান, ঈসরাফিল হাসান ও গোলাম রসুল ছাড়াও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ভিকটিম ওই নারী

মামলার ১নং আসামী কোটচাদপুর নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মো: আজাদ, ২নং আসামী পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে, ৩ নং আসামী নার্সিং হোমের নার্স রুমা এবং ৪ নং আসামী নার্স গোলবানু। এদের মধ্যে গোল বানু কে সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি সকল আসামী পলাতক রয়েছে।

কোটচাদপুর থানার ওসি মাহাবুবুল আলম জানান, মেয়েটি ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করে। পরে আদালতের নির্দেশে আমরা নার্সিং হোস ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদ, কোটচাদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম সহ ৪ জনের নামে মামলা রেকর্ড করি।

মামলার নথি ও পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে।

এ ঘটনায় মামলার চার নম্বর আসামী গোল বানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর মহেশপুর উপজেলার ঘুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারী দুবাই থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার পর কোটচাদপুর শহরের নার্সিং হোস ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে ২১/০২/১৯ তারিখের পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সহযোগীতায় ক্লিনিক মালিক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিল।

পরে মেয়েটির কাছে ওই ক্লিনিক মালিক ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে এই টাকা না হলে বিয়ে করবো না। এক পর্যায়ে মেয়েটি টাকা দিতে রাজি না হলে ২৬/০৮/১৯ তারিখে মেয়টিকে মারধর করা হয়। পরে মেয়েটি সেখান থেকে ফিরে গিয়ে আবার দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করে। শারীরিক অস্বুস্থতার কারনে দুবাই যেতে না পারায় মেয়েটি ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ০১/০১/২০২০ তারিখে অভিযোগ দায়ের করে। পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার (১৩ জানুয়ারী) রাতে কোটচাদপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here