সবুজদেশ ডেস্কঃ

শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হওয়ায় পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই গাঁজা বহন ও সেবন নিষিদ্ধ রয়েছে। যদিও গবেষকরা বলছেন, ওষুধ হিসেবে সেবন করলে তা অনেক রোগের উপশম করে। এমনকি গাঁজা সেবনের ফলে ক্যান্সার, স্ট্রোক, আলঝেইমারসহ ৯টি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, গবেষনায় এমনটাই পেয়েছেন তারা।

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ওষুধ হিসেবে পরিমাণমতো গাঁজা সেবনের নয়টি উপকার সম্পর্কে।

১. ক্যান্সার প্রতিরোধ: নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা বা মারিজুয়ানা সেবন মানব শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টিকে সরকারিভাবেই স্বীকার করেছে। ২০১৫ সালে দেশটির ক্যান্সার বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যান্সার অর্গ-এ জানানো হয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা সেবন অনেক ক্ষেত্রে মানব শরীরে টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

২. কেমোথেরাপির ক্ষতি কমায়: যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ড্রাগ জানায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এক পর্যায়ে কেমোথারাপি দিতে হয়। এই কেমোথেরাপির অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যা নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা সেবনের ফলে অনেকখানি লাঘব হয়।

৩. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকরা জানান, তারা গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন গাঁজা মানব মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে। ফলে স্ট্রোক এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

৪. মৃগীরোগ থেকে উপশম: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণে গাঁজা সেবনের ফলে মৃগী রোগ বা এই ধরনের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গবেষকদের এই তত্ত্ব ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স এ ছাপা হয়।

৫. গ্লুকোমার ঝুঁকি কমায়: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানায়, গাঁজা সেবনের ফলে চিরদিনে মতো চোখের অন্ধত্ব ডেকে আনা গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেকখানি কমে যায়।

৬. আলঝাইমা দূর করে: দ্য জার্নাল অব আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা সেবেনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া রোধ করা যায়। এর ফলে আলঝাইমার ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। তবে গাঁজা অতিরিক্ত আসক্তির সৃষ্টি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৭. স্নায়ুর মাল্টিপল সক্লেরোসিস রোধ: গাঁজা সেবনের ফলে স্নায়ুর মাল্টিপল সক্লেরোসিস বা এমএস রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। এটি একটি স্নায়ুরোগ, যা স্নায়ুর বিশেষ স্তরের ক্ষতিগ্রস্ত হলে হয়ে থাকে।

৮. ব্যথা নিরোধ করে: ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক সময় হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জ্বালা-যন্ত্রণা হয়। গাঁজা সেবনের করলে সেই যন্ত্রণা অনেকখানি কমে যায় বলে দাবি করছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা।

৯. হেপাটাইটিস ‘সি’ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়: নির্দিষ্ট মাত্রায় গাঁজা বা মারিজুয়ানা সেবন করলে হেপাটাইটিস ‘সি’ আক্রান্ত রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমে। গবেষকরা ৮৬ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এ ফলাফল পেয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here