ঢাকাঃ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে কেমন করে বাঁচবে সে?

সেলিমা ইসলাম বলেন, তার স্বাস্থ্য আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। তিনি হাত সোজা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। সে পা ফেলতে পারছে না।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে বিকেল ৩টায় তার স্বজনরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন।

স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতি সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনি আরিফা ইসলকম প্রমুখ।

জামিনের ব্যাপারে বেগম জিয়ার সঙ্গে স্বজনদের কোনো কথা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিল না, এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

তিনি জানান, বেগম জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছে না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছেন। ডাক্তার আজকে বোধহয় এসেছিল তারা ওষুধ দিয়েছে কিন্তু সে ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার দরকার।

বেগম সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না, আজ একমাস হলো অনেক বলার পর দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে আসলে তাও তো তার একটু ভালো লাগে কিন্তু আমরা যে দেখতে আসব সেই পারমিশনটাও তারা দিচ্ছে না। এক মাস দেড় মাস হয়ে যায় কোনো পারমিশন দেয় না।

উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বেগম জিয়া কোনো কিছু বলেছেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ তিনি তো উন্নত চিকিৎসা চাইবেনই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরি।

বেগম জিয়া জনগণের উদ্দেশে কোনো মেসেজ দিয়েছেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ম্যাডাম আপনাদের ও দেশের সকল জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. কাজী মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here