খুলনাঃ

খুলনায় করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী সোমবার (২০ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এর আগে ‘খুলনা মেডিকেলে বিক্রি হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট!’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়ার সঙ্গে জড়িত রিজেন্ট ও জেকেজি নিয়ে দেশজুড়ে যখন লঙ্কাকাণ্ড তখন খুলনায় করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বিক্রির খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি তদন্ত করেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও একদিন পর সোমবার বিকেলে প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো।

জানা গেছে, খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ টাকার বিনিময়ে মহানগরীর বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ এবং পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দুইজনই করোনা পজিটিভ। তাদের যে আইডির মাধ্যমে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিল তাও ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত শেষ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here