বৃদ্ধাকে একচালা টিনের ঘর, একটি টিউবওয়েল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়

যশোরঃ

যশোরের বেনাপোলে দীর্ঘ আট মাস খোলা আকাশের নিচে কাঁকড়া ও শালুক ফল খেয়ে বেঁচে থাকা মনিকা নামের সেই বৃদ্ধা পেলেন একটি ঘর। সঙ্গে পেয়েছেন ঘরে থাকার আসবাবপত্রও।

দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় ওই বৃদ্ধাকে একচালা টিনের ছাউনি বিশিষ্ট একটি ঘর গড়ে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল বাইপাস সড়কের পাশেই জমিদাতা আব্দুল্লাহ মোল্লা স্বপনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একত্রিত হয়ে ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে ঘরটির উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে মনিকাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘খোলা আকাশের নিচে কাঁকড়া খেয়ে জীবন ধারণের’ খবর প্রকাশ হলে এলাকাজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়ান দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। ওই বৃদ্ধার জন্য নিয়ে যান রান্না করা খাবার, কিছু শুকনা খাবার এবং শীত নিবারণের জন্য কম্বল। শুধু তাই নয়, নিজ হাতে মনিকাকে খাবারও খাইয়ে দেন।

এরপর প্রবাসীদের সহযোগিতায় তিনদিন ধরে বাঁশের খুঁটি ও টিন দিয়ে গড়ে তোলেন একটি বসতবাড়ি। একই সঙ্গে এই বৃদ্ধার নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল এবং পরিছন্ন টয়লেটের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়।

অন্যদিকে, নতুন ঘরের জন্য লেপ, কম্বল, বালিশ দেন সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। একই সঙ্গে প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার।

মিজানুর রহমান বলেন, মানব সেবা বড় সেবা। পৃথিবীতে কেউ কিছু নিয়ে আসেনি আর নিয়েও যাবে না। তাই আসুন আমাদের সমাজে যারা অসহায় অবহেলিত আছে তাদের পাশে এসে দাঁড়াই এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।

তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ফুড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী শাহপরান, ঝিকরগাছা ব্ল্যাড ব্যাংক ফাউন্ডেশন, তরুণ সমাজ সেবক ব্যবসায়ী আলমগীর, পুলিশ সদস্য সোহাগ হোসেনকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here