বাগেরহাটঃ

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়ের নির্দেশে শরণখোলায় এক গামেন্টকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে রোববার পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

তারা হলেন, এসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মো. সেলিম ও মো. সোহাগ। এর আগে শনিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্ত করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জনান, ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তবে তদন্তকালে গার্মেন্টকর্মী স্বপন বলেন, পুলিশের সাথে তার একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং তার কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়া স্বপনের দাবির প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া শরণখোলা থানার মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পুলিশের নির্যাতনের শিকার উপজেলার মধ্য-খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা নাদের হাওলাদরের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী স্বপনের ভাই আ. হালিম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্বপন নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। এ সময় শরণখোলা থানার ওসির প্রস্তাবে স্বপন মিমাংসায় রাজি হয়েছেন। যেহেতু ওই পুলিশ সদস্যদের ক্লোজড করা হয়েছে তাই আমাদের আর কোনো অভিযোগ নেই।

উল্লেখ্য, বুধবার (১০ জুন) সকালে পারিবারিক বিরোধের ঘটনায় শরণখোলা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় স্বপনকে গ্রেফতার করতে যায় শরণখোলা থানা পুলিশের একটি দল। এসময় পুলিশের এসআই বিশ্বজিতের নেতৃত্বে কনেস্টবল সেলিম ও সোহাগ তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। স্বপনের স্ত্রী শারমিন ঘরের দরজা খুলতেই পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত স্বপনকে বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। পুলিশ স্বপনকে ঘর থেকে মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে যায় এবং রাস্তায় ফেলে স্বপনকে মারপিট করে। এরপর থানায় নিয়ে পুনরায় নির্যাতন করলে স্বপন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন পুলিশ প্রথমে তাকে শরণখোলা হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here