বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গ্রামাঞ্চলে এলজিইডির রাস্তা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এখন থেকে রাস্তার ধারে বা যে কোন স্থানে সরকারের পুর্বানুমতি ব্যতিত কেও পুকুর, কুপ, জলাশয়, সেচনালা খনন করতে পারবে না। ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশন এ্যক্টের ৩ ধারা মতে এই পরিপত্র জারী করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের (উন্নয়ন-২) উপ-সচিব জেসমিন পারভিন।

২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর জারিকৃত পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যদি কেও এমন ভাবে পুকুর বা সেচ নালা খনন করে যার ফলে ভুমি, সড়ক বা পথের প্রতিবন্ধকতা বা ক্ষতি সাধন করে তবে তা ১৫ দিনে মধ্যে স্থানীয় জেলা প্রশাসক অপসারণ, খনন বা পুনঃখনন বন্ধ বা ভরাট করার আদেশ দিতে পারেন। এই আদেশ পালনে ব্যার্থ হলে বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশন এ্যক্টের ১২ ধারা মোতাবেক দুই বছরের জেল, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। ওই পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, পুকুর খনন করলে নিজ জমির ১০ ফুট অভ্যন্তরে জলাশয় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সরকারী রাস্তার কিনারা থেকে ১০ ফুট দুরত্বে ও ৪৫ ডিগ্রি ঢালের পাড় রেখে পুকুর বা জলাশয় খনন করতে হবে। দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ধারা ৪৩১ মোতাবেক সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন ফৌজদারী দন্ডনীয় অপরাধ।

এই আইনে ৫ বছরের কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ফলে সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ করা যাবে না। পরিপত্রে বলা হয় গ্রামীন সড়কের পাশে প্রচলিত আইনের বিধি বিধানের ব্যাতয় ঘটিয়ে কোন পুকুর, কুপ, জলাশয় খনন করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঝিনাইদহ জেলাব্যাপী পুকুর, জলাশয় ও কুপ খননের মচ্ছব চলছে। এই মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি ব্যবসায়িক ও আর্থিক হলেও ভারি গাড়ি দিয়ে মাটি টানার ফলে গ্রামীন সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক স্থানে এলজিইডির নতুন রাস্তার বারোটা বেজে গেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ট্রাক্টর ও ভটভটি চলার কারণে রাস্তার দুই পাশ বসে গেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তারা পুকুর কাটা বন্ধ করে আসলেও গায়ের জোরে অনেক স্থানে চলছে পুকুর খনন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here