তানজির রহমানঃ

ঋতু চক্রের আবর্তনে নয়নাভিরাম ফুলের এক বর্ণিল আয়োজন নিয়ে আমাদের প্রকৃতিতে আবারো হাজির হয়েছে গ্রীষ্মকাল। ফুলের কথা উঠলে আগে আসে ঋতুরাজ বসন্তের কথা। কিন্তু গ্রীষ্মেও  ফোটে নানা রঙের বাহারি ফুল। প্রচণ্ড দাবদাহে কিছুটা হলেও প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় এসব ফুল।

বৈশাখ মাসের প্রথম ভাগেই পাওয়া যায় কয়েকটি বাহারি ফুল। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল, সোনালু, স্বর্ণচাঁপা, ভাঁট, গন্ধরাজ, উদয়পদ্ম, গুলাচি, লালসোনাইল ইত্যাদি গ্রীষ্মের প্রধানফুল হলেও পালান, দুরন্তলতা, শ্যামটিউলিপ, মে ফ্লাওয়ার, অনন্তলতা, পাদাউক, সোনালী শাপলা, বেলি, জহুরিচাঁপা, বনপারুল, কার্ডওয়েল লিলিসহ কয়েকজাতের লিলি ও এই সময়ে প্রকৃতিতে শোভাবর্ধন করে থাকে। তবে এগুলোর মধ্যে একইগোত্রের কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, ও কনকচূড়ার রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈশিষ্ট্য।

সামাজিক বনায়নের আওতায় লাগানো বিভিন্ন ফুলের গাছ শোভা বর্ধন করছে কালীগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও নদীর তীর।

কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষ্ণচূড়ার সমাহার,কাঠালবাগান এলাকায় দেখা মেলে বেগুনী জারুল ফুলের। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ভিতর শোভা পাচ্ছে রাধাচূড়ার মায়াবী সৌন্দর্য, বিভিন্ন বাসা বাড়ির দুয়ার ঘিরে রয়েছে মাধবীলতা আর তার মনমাতানো সুগন্ধ।

প্রকৃতিগত কারণে নানা গাছপালা আর ফুল-ফলের অপার সৌন্দর্যে কালীগঞ্জের সুখ্যাতি বেশ প্রাচীন। অন্যান্য ঋতুর মতো গ্রীষ্মের ফুলে সাজানো থাকতো প্রকৃতির কোলজুড়ে। কিন্তু কাল পরিক্রমায় দিন দিন কমে আসছে গ্রীষ্ম রাঙানো এসব ফুল গাছ। সরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে ফলজ ও কাঠ গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ রোপনের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। নইলে যান্ত্রিকতা আর ব্যস্ততার ভীড়ে একসময় খর্ব হবে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ভারসাম্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here