সবুজদেশ ডেস্কঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই চলছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভোটের যে ফল এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র ৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তবে এখন কয়েকটি সুইং স্ট্যাটের ফল ঘোষণা বাকি। সেগুলোর ওপর নির্ভর করছে আগামী চার বছর হোয়াইট হাউস কার দখলে থাকবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলছে। এখন পর্যন্ত বাইডেন ২২৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন আর ও রিপাবলিকান ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৩টি।

প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের দরকার ৪৬ ইলেকটোরাল ভোট। আর ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৫ ইলেকটোরাল ভোট।

সুইং স্ট্যাটগুলোর কোনো কোনোটায় ট্রাম্প জয়ী হচ্ছেন, কোনোটায় আবার বাইডেন। ৫৫ ইলেকটোরাল ভোটের ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। আর ২৯ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  রাজধানী ওয়াশিংটনের বরাবরের মতো জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।

বেশিসংখ্যক অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেগুলোতে ইলেকটোরালা ভোট কম। রিপাবলিকান প্রার্থী ২৩টি রাজ্যে বিজয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মিসৌরি ও ওহাইও অন্যতম। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এসব রাজ্য দখলে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

বাইডেন ১৮টি রাজ্যে জয়ী হলেও সেগুলোকে ইলেকটোরাল ভোট বেশি। যার মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন রয়েছে।  ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এসব রাজ্য থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

কয়েকটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের ফল এখনও বাকি।  এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসালভানিয়া ও উইসকনসিন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, পপুলার ভোটে যে জয়ী হবে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, যদি না ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পক্ষে না থাকে। আগের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন সাড়ে ২৯ লাখ ভোট বেশি পেয়েও জয়ী হতে পারেননি ট্রাম্পের সঙ্গে।  

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here