কুষ্টিয়াঃ
চাকরি প্রত্যাশীদের কুপ্রস্তাব দিয়ে কুষ্টিয়ার সনো ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হসপিটালকে কলঙ্কিত করছে সনো ডায়গনষ্টিক এন্ড প্রাইভেট হসপিটালের ল্যাব ইনচার্জ তালাশ মাহামুদ।
অভিযোগ উঠেছে, শহরের সুনামধন্য প্রাইভেট সনো ডায়গনষ্টিক এন্ড হসপিটালের ল্যাব ইনচার্জ তালাশ মাহামুদ সনো হসপিটালে চাকুরী প্রত্যাশী নারীদের সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব দেন তিনি। হসপিটালের ল্যাব ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকায় তালাশ মাহামুদ দীর্ঘ দিন ধরে এই কাজটি করে আসছে। কুপ্রস্তাবের চিত্র ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের স্ক্রীন শটে উঠে এসেছে এ তথ্য। সবুজদেশ নিউজ ডটকমের কাছে ম্যাসেঞ্জারের স্ক্রীন শট সংরক্ষিত আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের একটি প্রাইভেট মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছিলেন তালাশ মাহামুদ। তালাশ মাহামুদ বর্তমানে কুষ্টিয়ার সনো ডায়গনষ্টিক এন্ড প্রাইভেট হসপিটালের ল্যাব ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকায় আগের কর্মসংস্থান থেকে পাশ করে ঐ নারী শিক্ষার্থী ২০১৮ সালে সনো ডায়গনষ্টিক এন্ড প্রাইভেট হসপিটালে চাকুরীর জন্য তার কাছে আবেদন করলে তিনি সেই শিক্ষার্থীকে মধ্যান্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ওই ছাত্রী তাতে বিব্রত হলে ওই প্রতিষ্ঠানে তার চাকুরীর দ্বার বন্ধ করে দেন তালাশ মাহামুদ। শুধু তাই নয়, একাধিক নারী শিক্ষার্থীরা সনো হসপিটালে চাকরি সুযোগ পেতে তালাশ মাহামুদের সাথে যোগাযোগ করলে আর এর সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে সুযোগ বুঝে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ প্ওায়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তালাশ মাহামুদের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। সে সনো হসপিটালে দীর্ঘ ৭ বছর কর্মরত রয়েছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উঠলেও টাকার বিনিময়ে বিষয়গুলি ম্যানেজ করেছেন তালাশ মাহামুদ।
এ ব্যাপারে তালাশ মাহামুদ সাথে মুঠোই ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে বলে জানান তিনি।
সনো হাসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামসুল ওয়াসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি। সনো কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে একটি আস্থার জায়গা। কোন খারাপ লোকের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে প্রমান পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।