চুয়াডাঙ্গাঃ
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন।
শনিবার রাতে দামুড়হুদার দর্শনায় এবং বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাস টার্মিনালের কাছে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দামুড়হুদার পরানপুর গ্রামের মৃত মোবারেক আলীর ছেলে নজির আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামের বাচাল আলীর ছেলে জোহর আলী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে দামুড়হুদার দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি বিকল অটোরিকশা থেমে ছিল। এ সময় একটি ট্রাক ওই অটোরিকশায় ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আরোহী নজির আহমেদ (৬৫)।
এ সময় শিশুসহ আহত হন আরও পাঁচজন। এরা হলেন- জাহান্নারা খাতুন (৫৫), নাজিরা খাতুন (৩২), শাহান্নারা খাতুন (৪০), সুজন আলী (২৫) ও শিশু নাহিদুল ইসলাম (২)।
অন্যদিকে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাস টার্মিনালের কাছে একটি আলমসাধুকে ধাক্কা দেয় একটি বাস। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমসাধুর যাত্রী ইটভাটা শ্রমিক জোহর আলী রাত ৯টার দিকে মারা যান।
এ ঘটনায় ইটভাটার আরও ছয় শ্রমিকসহ আহত হন আটজন। আহতরা হলেন- জয়নাল আবেদীন (৩৫), তৈয়ব আলী (৪০), জাব্বারুল হক (৩৮), সাবিনা ইয়াসমিন (১০), বাবলু হোসেন (৩২), কালাম আজাদ (৪৬), সোবহান আলী (৫০), আজম আলী (৩৫) ও রহিমা বানু (৪৬)। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান দর্শনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেছেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।