ঢাকাঃ

নমুনা পরীক্ষার নামে জালজালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে মুখোমুখি করবে। এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আরিফুলকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে আদালতের কাছে।

ডিবির উপকমিশনার (তেজগাঁও) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‌‘আমরা শক্ত ভিত্তির ওপর মামলাটাকে দাঁড় করাতে চাইছি। সে কারণেই আরিফুল হক চৌধুরীকে আবারও রিমান্ডে চেয়েছি। এ বিষয়ে আদালত শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারের পর আরিফুল হক চৌধুরী দোষ চাপিয়েছেন স্ত্রী সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের চারজনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সাবরিনা বলেছেন, যা কিছু ঘটেছে তার দায় স্বামীর। তিনি জালজালিয়াতির বিষয়গুলো বুঝতে পারেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভেঙে প্রথমে টাকার বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা করা ও পরে ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ জেকেজির প্রধান সমন্বয়ক আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেন। জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা শারমিন হুসেইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী গ্রেপ্তার হন রোববার।

সোমবার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, জেকেজিতে অপরাধ হয়েছে, এ ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। কার দায় কতটুকু তা নির্ধারণে এখন কাজ করছেন তাঁরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে জেকেজি সরকারি তিতুমীর কলেজকে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অস্থায়ী আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করছিল। পিপিইসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে জিনিসপত্রগুলো বুঝিয়ে দেয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৪৬টি পিপিইসহ স্যাম্পল কালেকশন বক্স, স্প্রে বোতল, স্যালাইন, মাল্টিপ্লাগ, সফট স্ট্রিপ, শু-কাভার, হেডক্যাপ, বায়োহ্যাজার্ড রোধী ব্যাগ, বৈদ্যুতিক কেটলি ও চশমা রয়েছে।

জেকেজির জিম্মায় থাকা ল্যাপটপ থেকে ১৫ হাজার ভুয়া সনদ জব্দ করেছে পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here