সবুজদেশ ডেস্কঃ

অবশেষে বোধোদয় হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি প্রথমবারের মতো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়কে স্বীকার করেছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এ কারণে বাইডেনকে সহজেই ছেড়ে দেবেন না বলেও হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।  

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রোববার বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে এক টুইটে এসব কথা লেখেন। ৩ নভেম্বর ভোটের পর কয়েক দফা কারচুপির অভিযোগ করার পর এই বিবৃতি দিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। খবর এপির। 

টুইটে ট্রাম্প লেখেন– ভোট জালিয়াতির কারণে তিনি নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষণকারী কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে ভোট গণনায় যেতে দেয়া হয়নি। চরম বামপন্থী মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃত্ববাদী কায়দায় ভোট গণনার কাজ তদারকি করেছে। এদের দুর্নাম রয়েছে, এসব কাজ করার জন্য তারা মোটেও উপযুক্ত নয়। তারা টেক্সাসে কাজ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি (যেখানে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি), ভুয়া ও নীরব গণমাধ্যম এবং আরও অনেক কিছু এর সঙ্গে জড়িত ছিল!’

ট্রাম্প এতদিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর অপপ্রচার, ভোট জালিয়াতিকে তার পরাজয়ের জন্য দায়ী করলেও এবার যোগ করেছেন নির্বাচন তদারকি কর্মকর্তা ও মিডিয়াকেও। 

সিএনএনের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভোট গণনার সময় নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ভোট গণনায় কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সফটওয়্যার বা অন্য কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির খবরও কোথাও পাওয়া যায়নি।

জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।  ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট। পপুলার ভোটেও বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে বেশি পেয়েছেন। ৭ কোটি ৮৮ লাখ ভোট পেয়েছেন বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৭ কোটি ৩০ লাখ ভোট।

ট্রাম্পের এসব প্রতিক্রিয়ার জবাবে বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন এনবিসিকে বলেছেন, বাস্তবতাকে যদি ট্রাম্প মেনে নিতে পারেন সেটি খুবই ইতিবাচক। ট্রাম্পের এই টুইটে জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়া না হওয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমেরিকানরা তাকে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্প জালিয়াতির কথা বললেও নির্বাচন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, এ নির্বাচন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ ছিল।

নিরাপত্তা বিভাগের সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি বলছে, ‘আমরা জানি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে অনেক ভুল দাবি আসছে। অনেকে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করে আপনাদের বলতে চাই– নির্বাচনের সততা রক্ষায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’

২০ জানুয়ারি ২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অঙ্গরাজ্যগুলোর ফল সরকারিভাবে ঘোষিত হয়নি, বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোট গণনা এখনও চলছে। এই রাজ্যগুলোর ফল নির্ধারিত হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের বৈঠকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here