যশোরঃ

যশোরের মণিরামপুরে ঝাঁপা বাঁওড়ে বন্ধুদের সাথে নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ সেই কলেজ ছাত্র আল ফারাহ শোয়েবের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটা ৫মিনিটে ডুবুরি হুমায়ুন কবির মরদেহটি উদ্ধার করেন। এসময় ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান, থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় তিনঘন্টা অনুসন্ধান চালিয়ে তারা শোয়েবের সন্ধান পান।

মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার আব্দুল আজিজ বলেন, ছেলেটি যেখানে লাফিয়ে পড়েছিল সেখান থেকে ১০০ হাত উত্তর-পূর্বপাশে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা মরদেহটি হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। সেখানে থানা পুলিশ মরদেহটি গ্রহণ করেছে।

মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু প্রক্রিয়া শেষে শোয়েবের মরদেহ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে ১৮ জন কলেজ শিক্ষার্থী রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাঁপা বাঁওড়ের পশ্চিমপাড়ে পিকনিকে আসেন। এরপর তারা সবাই জেলাপ্রশাসক ভাসমান সেতুর তীর হতে নৌকায় চড়ে বাঁওড় ভ্রমণে বের হন। নৌকাটি রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিকটে পৌঁছুলে শোয়েব, তন্ময় ও রিফাত তিনবন্ধু নৌকা থেকে পানিতে লাফিয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে তন্ময় ও রিফাত তীরে উঠে আসলেও নিখোঁজ হন শোয়েব।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে শোয়েবকে উদ্ধারে স্থানীয়দের সাথে পানিতে নামেন মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্যরা। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে খুলনা থেকে আসা ডুবুরিরা কাজে অংশ নেন। তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালান।   

এদিকে নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়া তিনবন্ধুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে বন্ধুদের সাথে ফুর্তি করতে করতে জামা খোলেন শোয়েব, তন্ময় ও রিফাত। পরে হাসতে হাসতে তারা একে একে পানিতে ঝাঁপ দেন।

শোয়েব যশোর সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে যশোরের পুরাতন কসবা এলাকার শাহিন হোসেনের ছেলে। তার পিতা ঈগল পরিবহনের সুপারভাইজার।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here