নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এলজিইডি’র ট্রেনিং অফিসার মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রামীণ নারী কর্মীদের অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ দাবি ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার দুপুরে শৈলকুপা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এলাকার শতাধিক নারী কর্মী এ অভিযোগ করেন।

এসময় তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি এলজিইডি’র অধিনে আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের অধিনে শৈলকুপায় ১৪০ জন নারী কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে তাদের বেতন দেওয়া হলে সেখান থেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৭০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও চাকুরী স্থায়ী রাখার জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন মাসুদ রানা। এমনকি নারীদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগও করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

কাঁচেরকোল ইউনিয়ন থেকে আসা মর্জিনা বেগম অভিযোগ করেন, তার চাকুরি হলেও মাসুদ রানা তার কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন। টাকা না দিলে চাকুরি থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

উমেদপুর ইউনিয়নের তৃষ্ণা রাণী বলেন, প্রতি মাসে আমার কাছে ৫’শ টাকা ঘুষ চেয়েছিল মাসুদ রানা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে চাকুরি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।

সারুটিয়া ইউনিয়নের লিপি খাতুন বলেন, ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে আসছে মাসুদ রানা। টাকা না দিলে বিভিন্ন ভাবে চাকুরি থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেন নারী কর্মী নিলুফা আক্তার, সাধনা বিশ্বাস, চুমকি দাস, শিল্পী দাসসহ অন্যান্যরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে পরে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে নারীরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here