ঝিনাইদহঃ

করোনাকালীন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল আত্মসাতের ঘটনায় ঝিনাইদহের সদর উপজেলার এক চেয়ারম্যানসহ পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বরখাস্তরা হলেন-উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুখ হোসেন জুয়েল, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শান্তি বিশ্বাস, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মজিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রসুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রসুল।

গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনটি সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের কাছে এসে পৌঁছেছে।

জানা যায়, করোনাকালীন মানুষের খাদ্য সংকট মেটাতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ এপ্রিল সদর খাদ্য গুদাম থেকে ১৮.৬০০ টন চাল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু সে সময় একই জাতীয় পরিচয়পত্রে ৪০টি কার্ড করে ডিলারের যোগসাজশে ১০ টাকা কেজি চাল আত্মসাৎ ও চালপ্রাপ্তদের ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ ওঠে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে।

এমন অভিযোগে ওই সময় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পান এবং দুইজন ডিলারকে বহিষ্কার করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে জানান তিনি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছায়। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘বরখাস্তকৃত ৬ জনকে কেন স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে না’ মর্মে জেলা প্রশাসনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে এই চিঠিতে।

ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান বলেন, ‘চিঠিটি হাতে পেয়েছি। সেখানে যেভাবে বলা হয়েছে আমরা সেভাবেই তার জবাব দেব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here