বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আনোয়ার হোসেন (৩০)। সে জানে না কে তার পিতা। পিতার পরিচয় পেতে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিতে হয়েছে তাকে। অনিশ্চয়তা আর সংশয়ের মধ্যে এখনো বাবার পরিচয় পেতে আদালতে ঘুরছেন ছেলে আনোয়ার। সর্বশেষ পিতার পরিচয় পেতে পিতার দেওয়া একটি মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের স্বরনাপন্ন হতে হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পিতা ও পুত্রের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিলে বাদী নিজেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে বাছির হোসেনকে পিতা পরিচয় দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা করেন আনোয়ার হোসেন ও মঞ্জুরা খাতুনের নামে। মামলা নম্বর কালী-সিআর ১১/২০। এই মামলায় মঙ্গলবার ঝিনাইদহ আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিকে এই মামলায় ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ঝিনাইদহ আদালত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। অপরদিকে বাদী বাছির হোসেন ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসার পূর্বেই স্বেচ্ছায় উক্ত মামলাটি প্রত্যাহার করেছেন।
পিতার পরিচয় চাওয়া সন্তান আনোয়ার হোসেন জানান, সামাজিকভাবে বিচার চাওয়ায় আমার পিতা আমাকে ও আমার মাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছি। গ্রামের অনেকেই বলেছেন বাছির হোসেনই আমার বাবা। ঘটনাটি নিস্পত্তি করতে গ্রামেও অনেকবার সামাজিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। আদালত আমাদের ডিএনএ টেস্টের আদেশ দিয়েছেন। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে বাদী বাছির হোসেন জানান, আনোয়ার হোসেন ও মঞ্জুরা খাতুন আমার সম্পত্তির লোভে প্রতরণামূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। যে কারণেই সামাজিকভাবে মানসম্মান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি স্বেচ্ছায় মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।