নিজস্ব প্রতিবেদক:

সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহে চলমান কঠোর লকডাউনে মানা হচ্ছে না কোন নির্দেশনা। আইন অমান্য করে বিনা কারণে নানা অজুহাতে বের হচ্ছে মানুষ। সড়কেও বেড়েছে ছোট ছোট যানচলাচল ও লোকসমাগম। শহরের অধিকাংশ দোকান পাট আংশিক খোলা রেখে কেনাবেচা করছে। সকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক ও গলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। নিদের্শনা অমান্য করে করা হচ্ছে চলাচল। এদিকে হাট ও বাজারগুলোতে গাদা-গাদি করে কেনা-বেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। অনেকেই পড়ছেন না মাস্ক। যে কারণে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা ও করোনায় আক্রান্তের হার।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মোড়ে মোড়ে চেক পেস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হচ্ছে তবুও তাদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, গতকাল সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজেটিভ নিয়ে ৫ জন মারা গেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১৯৪ জনে। এছাড়াও নতুন করে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৪ ভাগ।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি দেওয়া নির্দেশনা না মেনে বিনা কারণে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি আর স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুলিশ বা প্রশাসন কঠোর হলেও মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে করোনার সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকরে জেলা ও উপজেলায় ১১ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সচেতনতামুলক প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here