নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্থানের অভাবে ঝিনাইদহ সদর সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। মাত্র দুইটি রুমে ১৪ জন স্টাফকে কাজ করতে হয়। অফিসের জন্য স্টাফদের কাকুতি মিনতি কোন কাজেই আসছে না। তবে কর্মকর্তারা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সম্প্রসারিত হলে তখন স্থানের অভাব মিটে যাবে। সরেজমিন দেখা গেছে, পাবলিক রিলেটেড এই অফিসে সর্বক্ষন শতাধীক মানুষ সেবা নিতে আসেন। সেবা গ্রহীতারা অফিসে বসতে পারেন না। তারা বাইরে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

অনেকটা কর্মকর্তা কর্মচারীদেরই জায়গা হয়না, তার উপর সেবাগ্রহীতারা অনেকটা গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোর মতো। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের নিচে দুইটি ছোট রুমে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কক্ষ। এরমধ্যে একটি রুম উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার। বাকী একটি রুমে ইউনিয়ন সমাজকর্মীসহ ১৩ জনকে গাদাগাদি করে বসতে হয়। স্থান না পেয়ে কেও বারান্দায় বসে কাজ করেন। এতে অফিসিয়াল কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অনেক সময় সেবাগ্রহীতাদের ভীড়ে কাজ করতে পারেন না সমাজসেবা কর্মীরা। তাই স্থান না পেয়ে ভবনের বাইরে টেবিল চেয়ার পেতে সেবা গ্রহীতাদের সেবা দিতে দেখা যায়। স্থানের এই অভাব বছরের পর বছর চলে আসলেও উপর মহলের পক্ষ থেকে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে দুই কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে কাজকর্ম।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ শেখ মঙ্গলবার বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সস্যা সমাধান করার। এই মুহুর্তে নতুন অফিস নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সম্প্রসারিত হলে তখন স্থানের অভাব মিটে যাবে বলে মনে করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here