সবুজদেশ ডেস্কঃ

ওয়ানডে সিরিজের ধারাবাহিকতাই টি-টোয়েন্টিতে ধরে রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিলেটের পর ঢাকায় এসেও জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন, তামিম, সৌম্যর ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের সামনে ২০১ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেছেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি।

১৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১২৫। পরের ৫ ওভারে ৭৫ রান তুলেছেন সৌম্য আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওভারপ্রতি ১৫ রান করে। এর মধ্যে সব মিলিয়ে ৩২ বল খেলেন সৌম্য। রান করেন ৬২। ছক্কা ৫, বাউন্ডারি ৪টি। ৯ বল খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

সিলেটের লাক্কাতুরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকেই যেন মিরপুরে নামিয়ে এনেছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৯২ রানের অনবদ্য জুটি গড়ার পর তারা দু’জনই আজ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে আবার ইনিংস করতে নেমে রীতিমত ঝড় বইয়ে দিচ্ছিলেন।

১০.২ ওভারে তারা দু’জন গড়ে ফেলেন ৯২ রানের অসাধারণ এক জুটি। এর মধ্যে তামিম ইকবাল খেলেন ৩৩ বল। রান করেন ৪১। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মারেন ২টি ছক্কার মার।

ওয়েসলি মাধেভিরেকে ছক্কা মারতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। উইকেটের পাশে দাঁড়িয়েই ক্যাচ তালুবন্দী করে নেন শন উইলিয়ামস। ৪১ রান করে বিদায় নেন তামিম ইকবাল।

জুটি হারিয়ে যেন কিছুটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন লিটন। এ কারণে তিনিও বেশিক্ষণ টিকলেন না। ৩৯ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর তিনিও বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

তামিম-লিটন আউট হওয়ার পর জুটি বাধেন মুশফিক এবং সৌম্য সরকার। ৮ বল খেলার সুযোগ পান মুশফিকুর রহীম। এই ৮ বলে দুটি ছক্কা মেরে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ক্রিস্টোফার এমপোফুর বলে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

১৪৬ রানের মাথায় মুশফিক আউট হন। পরের ৫৪ রানের জুটি গড়েন সৌম্য এবং মাহমুদউলল্লাহ রিয়াদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here