চুয়াডাঙ্গা ঃ

গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে ট্রেনের থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল বিকেলে চারটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ায় পৌঁছায় শাওনের লাশ।

দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিল শাওন। টাঙ্গাইলের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। শাওনের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে শোকে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। তিনি ছিলেন তার মা-বাবার একমাত্র ছেলে।

নিহত শাওনের চাচাত ভাই রকি জানান, ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ট্রেনের বাইরে মাথা বের করলে কালভার্টের লোহার ব্রিজের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে যান শাওন। ট্রেনের দরজায় ছিটকে আসা রক্ত লেগে থাকতে দেখে রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান শাওনের সহযাত্রী দুই বন্ধু। পরে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মির্জাপুর স্টেশনে নেমে শাওনকে খোঁজাখুঁজি করেন তারা।

এ বিষয়ে মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা জানান, জয়দেবপুর ও মির্জাপুর স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় রেললাইনের একটি কালভার্টের নিচ থেকে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারে সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকালই লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়ায় পরিবারের সদস্যদেরক লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কার্পাসডাঙ্গা খ্রিস্টিয় কবরস্থানে তার লাশের কবর দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা উদ্দেশ্যে বন্ধু অবুন কাঠান, তার স্ত্রীসহ তিনজন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে চড়েন। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর শাওন তার আসন থেকে উঠে মোবাইলে কথা বলতে বলতে দরজার দিকে যান। অনেকক্ষণ পরও ফিরে না এলে সন্দেহ হলে সবাই তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শাওনকে না পেয়ে বিষয়টি ট্রেনে দায়িত্বরত স্টাফদের জানানো হয়।

মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি থামলে সবকটি বগিতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে শাওন যে দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানে মাথার ঘিলু ও রক্তের ফোঁটা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ট্রেনযাত্রী ও স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে জানালে শাওনের সঙ্গে থাকা দুজনকে হেফাজতে নেন স্টেশন মাস্টার। খোঁজ শুরু হয় শাওনের। পরে পুলিশ শাওনের লাশ উদ্ধার করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here