সবুজ দেশ নিউজ ডেস্কঃ

রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও। রোগীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো।

২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৭ জন রোগী। বিদ্যমান পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। যদিও সরকার থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘোষণা আসেনি।

এডিস মশাবাহিত এই রোগের ভয়াবহতার জন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, যথাসময়ে মশা নিধনের কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

শুধু তা-ই নয়, সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনে কেন কার্যকরী ওষুধ ছিটাতে পারছে না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টও। ওষুধ কার্যকরী কি না, সে পরীক্ষা আগে কেন করা হয়নি- তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

কিন্তু কোনো অভিযোগই মানতে নারাজ সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারে সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সিটি কর্পোরেশনের মশা মারার ওষুধ যে অকার্যকর, সে ব্যাপারে আইসিডিডিআর,বির গবেষণা প্রতিবেদন সঠিক নয়। ভালো ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ডেঙ্গু নিয়ে ছেলেধারার মতো বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ৫৪৭ জন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে এ মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩২২ জন এবং ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯২৬ জন। আর জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন। এ সময়ে মারা গেছেন ৮ জন। যদিও বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে বেশি।

দুই সিটির ব্যর্থতা : ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কাজের ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, রুটিন মেনে সকালে মশার লার্ভা নিধনে লার্বিসাইট এবং বিকালে উড়ন্ত মশা নিধনে এডাল্টি ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না।

আর দুই সিটির ক্রয়কৃত ওষুধগুলো অকার্যকর বলেও প্রতীয়মান হয়েছে। এরপরও সেসব ওষুধ বাতিল না করে ছিটিয়েছে দুই সংস্থা। একই সঙ্গে নগরবাসীকে আগাম সতর্ক করতে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা দরকার ছিল; সেসব কাজে বড়ই উদাসীন দেখা গেছে দুই সিটিকে।

মেয়রদ্বয়কে মাঠে দেখা গেলেও এই ইস্যুতে কাউন্সিলরদের তৎপরতা এখনও প্রত্যাশিত নয় বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

এসব অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু ভয়াবতা পেয়েছে। এখন প্রতিমুহূর্তে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন দুই সিটি প্রতিদিনই সচেতনতামূলক কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করলেও সেসব মশা বা লার্ভা নিধনে তেমন ভূমিকা রাখছে না। অনেকে এসব কাজকে লোক দেখানো মশক নিধন কার্যক্রম বলে অভিমত ব্যক্ত করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মশা নিধন কার্যক্রমের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) চলতি অর্থবছরে ২৬ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মশক নিধনে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

ডিএসসিসিতে মশার ওষুধ ছিটানোর ৯৪০টি মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে হস্তচালিত, ফগার ও হুইল ব্যারো মেশিনের প্রায় অর্ধেকই অচল রয়েছে। অন্যদিকে ডিএনসিসিতে হস্তচালিত, ফগার, হুইল ব্যারো, ভেহিক্যাল মাউন্টেড ফগার মিলিয়ে মশা নিধনের মেশিন রয়েছে ৬৫৩টি।

এসব মেশিনের বেশির ভাগ নষ্ট বলে জানা গেছে। আর ডিএনসিসির মশক নিধনকর্মী রয়েছেন ২৭৯ জন এবং ডিএসসিসিতে ৮২৯ জন। মশক নিধন কর্মীদের নিয়ম করে সকালে লার্বিসাইট এবং বিকালে এডাল্টি সাইট ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও এসব কর্মী কাজে ফাঁকি দেন এবং ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, ডিএনসিসি এলাকায় নিয়মিত গৃহকর পরিশোধ করে- এমন বাড়ির সংখ্যা দুই লাখ ৮৮ হাজার ৯১২টি। আর ডিএসসিসিকে গৃহকর পরিশোধ করে এক লাখ ৬৫ হাজার বাড়ি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই সিটির সাড়ে ৪ লাখ বাসাই ডেঙ্গুঝুঁকিতে রয়েছে।

একই সঙ্গে দুই সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডের আরও লক্ষাধিক বাসাও একই ঝুঁকিতে রয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশন এখন শুধু দুই সিটির পুরনো ৯৩টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিধন খাতে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এ কারণে এডিস মশা সৃষ্টি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা চলাকালীনও নবগঠিত এলাকা বরাবরের মতো উপেক্ষিত থাকছে।

এ বিষয়ে বুধবার রাজধানীর এক সেমিনারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজধানীর বেশির ভাগ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে মশা মারার জন্য যে কীটনাশক ছিটানো হয়, সেগুলো মোটেও কার্যকর নয়। সেগুলোতে কোনো মশাই মরে না। এসব কারণেই ডেঙ্গু এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রখ্যাত ভাইরালজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বুধবার একই সেমিনারে বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশে ডেঙ্গুর এমন অবস্থা সৃষ্টি হতো না। তিনি দেশবাসীকে নির্দেশ দিলে সবাই কোদাল হাতে নিয়ে চারপাশ পরিষ্কার করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এডিস মশার কামড় আমরা প্রতদিনই খাচ্ছি। কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে আমরা বেঁচে যাচ্ছি। প্রাইমারি ইনফেকশনে আমাদের কিছু না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশনে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’

বৃহস্পতিবার অধ্যাপক নজরুল এক প্রশ্নের জবাবে যুগান্তরকে বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে লার্ভা ও মশা নিধন করা। এটি যার যা করা দরকার, তাকে সেটা করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘অন্যবারের মতো এবারও মশক নিধনের রুটিন কাজ পরিচালিত হয়েছে। আর মশার ওষুধ অকার্যকর বলে যেসব কথা বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মশার ওষুধ ছিটালে ১০০টির মধ্যে ৯০-৯৫টি মশা মরে যায়। কিছু মশা মরে না, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু এটি নিয়ে ছেলেধরার ইস্যুর মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ছেলেধরা, সাড়ে তিন লাখ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একই সূত্রে গাঁথা। সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবে। ডেঙ্গু রোগীদের পাশে থেকে কঠিন জবাব দেয়ার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞ।’

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১০ মার্চ থেকে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও মূলত কাজ শুরু করেছি ২৩ এপ্রিল থেকে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মশক নিধন কাজের রুটিন কাজগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মশার ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এজন্য আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি, ওষুদের মান ঠিক করে দিতে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মশার ওষুধ কিনে ব্যবহার করব।’

ওষুধ ও মশা নিয়ে ধূম্রজাল : আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত কীটনাশক দিয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ভাইরাসবাহক এডিস মশা মরছে না। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত রাজধানীর ৮টি এলাকায় এডিস মশা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, ঢাকা শহরের এডিস মশা ওষুধ প্রতিরোধী। বর্তমান ওষুধে তারা মরে না।’

রাজধানীর কোন এলাকায় কী ধরনের মশার উপস্থিতি, তা জানতে ২০১৫-২০১৬ সালে একটি গবেষণা চালায় নর্থ সাউথ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষকরা এজন্য বেছে নেন ঢাকার ছয়টি উদ্যানকে।

বছরব্যাপী নমুনা সংগ্রহ করে তারা ডেঙ্গু প্রাইমারিবাহক এডিস ইজিপ্টি মশার উপস্থিতি পান কেবল বলধা গার্ডেনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকদের সিদ্ধান্ত হল, ওই সময় উদ্যোগ নেয়া হলে সহজেই এডিস ইজিপ্টি মশার বিস্তার রোধ করা যেত। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন তাতে ব্যর্থ হওয়ায় উল্টো এর বিস্তৃতি বেড়েছে। ঢাকার সব এলাকায়ই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর বাহক। নর্থ সাউথ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ওসমানী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও বলধা গার্ডেন থেকে মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে কেবল বলধা গার্ডেনে এডিস ইজিপ্টি মশার উপস্থিতি পাওয়া যায়, যার ঘনত্ব ছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি পাঁচটি উদ্যানেই সেসময় ডেঙ্গুর বাহক এ মশার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মাহমুদ খান যুগান্তরকে বলেন, মশা মারার বাজেট বাড়ানো হলেও নাগরিকরা সেবা পাচ্ছেন না। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- সরকারি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীতে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তাতে মশা মরছে না। অকার্যকর মশার ওষুধের কারণে যতই বাজেট বাড়ানো হোক, কোনো কাজে আসবে না। এর মধ্যে দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ডেঙ্গুবিরোধী এক সচেতনতা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মশার ওষুধের মান নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনে যেসব ওষুধ ব্যবহার করছে, তা সঠিক আছে। এসব ওষুধ অকার্যকর নয়।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম দাবি করেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় কম।

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর আমাদের ২৮ জন মারা যাওয়ার রেকর্ড আছে। থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত একশ’র বেশি মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। ফিলিপিন্সে ৪৫০ মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। সিঙ্গাপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী ৪০-৫০ জন মারা গেছেন।’

মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে আইসিডিডিআর,বির গবেষণার ফলও প্রত্যাখ্যান করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, এ সম্পর্কে যে বক্তব্য এসেছে তার জন্য ওষুধ পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং কার্যকরী ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে পরীক্ষান্তে পাওয়া গেছে।’

সরেজমিন চিত্র : এ মৌসুমে ডিএনসিসির ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে এবং তিন শিশু মারা গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, নিয়মিত সকাল ও বিকালে এলাকায় ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও সপ্তাহে এক বা দু’দিনের বেশি তাদের দেখা মিলে না। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এ দুটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা এবং ডাবের খোলাসহ বিভিন্ন পাত্রে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায়। এর মধ্যে ৩০ জন শিশু। সিট সংকুলনা না হওয়ায় ৬০ জন রোগী ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই হাসপাতালে। আর ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৬৫ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন শিশু আইসিইউতে রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here