সবুজদেশ ডেস্ক:

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ পেসার শহীদুল ইসলাম। আইসিসির ডোপিং বিরোধী কোডের ২.১ নম্বর ধারা ভেঙেছেন তিনি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, গত ৪ মার্চ টুর্নামেন্টের বাইরের কর্মসূচির আওতায় মূত্র নমুনা সরবরাহ করেন শহীদুল। সে নমুনাতেই পাওয়া গেছে ক্লোমিফিন নামের দ্রব্য, যেটি নিষিদ্ধঘোষিত বলে বিবেচিত।

আইসিসি বলছে, শহীদুল ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ সেবন করেননি। অন্য একটি অসুখের কারণে বৈধভাবে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একটি ওষুধ সেবন করেন শহীদুল, তবে সেটিতে ছিল ক্লোমিফিন। পুরো ব্যাপারটিতে শহীদুলের দিক থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ‘অবহেলা বা দোষ’ খুঁজে পায়নি আইসিসি। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি এমন করেননি, এ ব্যাপারেও আইসিসিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে শহীদুল।

তবে এরপরও শহীদুলকে নিষিদ্ধ করার পেছনের কারণ হিসেবে আইসিসি বলেছে, ‘শহীদুল এটা মেনে নিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপিং বিরোধী নিয়মের কারণে তাঁর ওপর অর্পিত যে দায়িত্ব, সেটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।’

এ দিকে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণেই ওই ওষুধ সেবন করেছিলেন শহীদুল। তবে তাঁকে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিসিবির সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি তিনি সে সময়ে। পরে দেখা গেছে, ওই ওষুধটি নিষিদ্ধঘোষিত।

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শহীদুল। গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকলেও ম্যাচ খেলেননি। শহীদুল ছিলেন চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরের বাংলাদেশ দলেও। তবে চোটের কারণে সফরের আগেই ছিটকে যান তিনি।

আইসিসি বলেছে, ২৭ বছর বয়সী এ পেসার ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি মেনে নিয়েছেন। গত ২৮ মে স্বেচ্ছায় অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার জন্য রাজি হন শহীদুল। তাঁর মূল নিষেধাজ্ঞাও শুরু হবে ওই দিন থেকেই। ফলে আগামী বছরের ২৮ মার্চ ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।

শহীদুলের আগে সর্বশেষ ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ওই সময়ে অনিক ইসলামকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও সে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিবিই। আর শহীদুলের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যান জুবায়ের হামজা। গত মে মাসে নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here