ঢাকাঃ

বিদ্যুৎ বিভাগের চলমান প্রকল্প থেকে বিগত তিন বছরে মোট ২৯৬১ কর্মকর্তা বিদেশ সফর করেছেন। এ সব সফরের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়ে নজর রাখতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। অযথা কেউ যেন বিদেশ না যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগের সভায় কমিটি বিদেশ সফর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বিদেশ সফর নিয়ে যাতে কোনো অস্বচ্ছতা না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। একই ব্যক্তি যেন বারবার সফরের সুযোগ না পায়। বিদেশ সফর হতে হবে অবশ্যই প্রয়োজনে। অপ্রয়োজনে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে চলছে। বিদেশে সফর নিয়ে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।

জানা গেছে, বৈঠকে সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার পাশাপাশি এর স্ট্যান্ডার্ন্ড নির্ধারণ করে দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়াও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও চুরিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এ সময় মন্ত্রণালয় থেকে কমিটিকে জানানো হয়, গ্রামাঞ্চল এবং অফগ্রিড এলাকায় সোলার বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ২১টি সোলার মিনিগ্রিড, ১ হাজার ৩৭৪টি সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৫.৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৬টি সোলার মিনিগ্রিড এবং ২৩২টি সোলার ইরিগেশন পাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান ।

এ ছাড়াও যে সব অবিদ্যুতায়িত পকেটগুলোতে গ্রিড বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এমন ১ হাজার ৬৯টি অফগ্রিড গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২০টি গ্রামে জুন, ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ-এর আওতায় আনয়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here