যশোরঃ

যশোরের মনিরামপুরে ৫৪৯ বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল কালোবাজারি মামলার পলাতক আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তার মালামাল ক্রোক্রের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৬ অক্টোবর মামলার চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এই আদেশ দিয়েছেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি রোববার জানা গেছে। প্রায় দেড় মাস পার হলেও জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বের মনিরামপুর থানায় পৌঁছায়নি এই পরোয়ানার আদেশের কপি। অভিযুক্ত উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের এমপি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ভাগনে। রোববার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত কোনো আদেশের কপি হাতে আসেনি। আদালত কবে এই আদেশ দিয়েছেন, সেটিও জানা নেই।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী বলেন, অনেক মামলা দেখতে হয়। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা হয়েছে কি না, নথি না দেখে এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। আদালতের ডিলিং সেকশন বিষয়টি দেখে।

গত ১ অক্টোবর সরকারি ত্রাণের চাল কালোবাজারির মামলায় ছয়জনের নামে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন : মনিরামপুরের হাকোবা গ্রামের মৃত সুনীল চক্রবর্তীর ছেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু, জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বর মোড়লের ছেলে মো. কুদ্দুস, রবিন দাসের ছেলে জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে চালকল মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন ও খুলনা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার। চার্জশিটে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চুকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here