খুলনাঃ

কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌণে ১২টায় অতর্কিতে শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু প্রশাসনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। এর ফলে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে একটি গেটের তালা খুললেও উপাচার্যের বহির্গমন পথের ক্লোপসিবল গেট তখনও বন্ধ ছিলো। এ অবস্থায় ডিনবৃন্দ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে উপাচার্যের অফিসের বহির্গমন পথের ক্লোপসিবল গেটের তালা খুলে দেওয়ার জন্য আহবান জানান।

জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সকল ডিন ও দুশতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে তারা তালা খুলে দেয়। এ সময় উপাচার্য অফিস থেকে বের হয়ে বাসভবন অভিমুখে রওনা হলে সকল শিক্ষক তাঁর সাথে যান। বাসভবনের সামনে পৌঁছে উপাচার্য এই সহমর্মিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এটা প্রকৃত অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবাই মিলে আমরা যে অবস্থান ও সুনামের জায়গায় নিয়ে এসেছি তা যেন অক্ষুন্ন থাকে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পায়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। তাদের কোনো সমস্যা হোক বা থাকুক এটা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের সকল প্রচেষ্টা তাদেরকে ঘিরেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ তারাই। অভিভাবক হিসেবে আমরা পর্যায়ক্রমে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি আশা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোধোদয় হবে এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ধারা ও সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here