ঢাকাঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেবে না কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো পরিচয়ই কাজে আসবে না। দুর্নীতিপরায়নদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।’

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের নেতৃত্বে  ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দুদক চেয়ারম্যান প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। যারা জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়েন তারাও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। কারো অধিকার লঙ্ঘন করেই দুর্নীতি করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কি-না, সেটাও আপনারা লক্ষ্য রাখবেন। সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া দুর্নীতি-মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোর কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনা কঠিন। সর্বত্র সুশাসন নিশ্চিত করতে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে ছাত্র-শিক্ষক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করেছে। কমিশন সততা সংঘ ও  দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে একই প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ গ্রোথিত করার জন্য কমিশন এসব সংগঠনকে ব্যবহার করছে।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন। সুশাসন প্রতিষ্ঠাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।’

এসময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘মূল্যবোধ বিকশিত করার ক্ষেত্রে দুদক এবং মানবাধিকার কমিশন একত্রে কাজ করতে পারে। মানুষের অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন সজাগ থাকবে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে আমরা আমাদের আইনি দায়িত্ব পালন করবো এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য  ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সদস্য ড. নমিতা হালদার প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here