ফাইল ফটো

ঢাকাঃ

ভোলা থেকেও বিএনপি ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দলের প্রভাবশালী নেতাও নজরদারিতে আছেন বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কামাল হোসেন সাহেব বিএনপি নেতার (খালেদা) সাথে দেখা করলেই তারা চাঙ্গা হয়ে যাবে বলে মনে করছে। যারা আন্দোলন করতে পারেনি তারা এই ধরনের বোকা স্বর্গে বাস করেন।

রাশেদ খান মেনন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউটার্ন নিয়েছেন। তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সেটিও দেখার বিষয়। শরীক দলের জন্য এক নেতার জন্য ১৪ দল ভাঙবে না।

আগামী বছরের প্রথমদিকেই সিটি নির্বাচন। প্রস্তুতি নেয়ার আহবানও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্যমেলা ময়দানে আগামী কাউন্সিল সফল করতে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে চলমান যে দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে তার উল্লেখ করে কাদের বলেন, নিজের ঘরের লোকদের বিরুদ্ধে এই অভিযান ৭৫ পরবর্তী সরকার কেউ নিতে পারেনি।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অভিযানে যারা দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি করে তারা কেউ ছাড় পাবে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কারা কারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতারাও নজরদারিতে আছেন।

জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পকেট ভারি করার জন্য এবং নিজের সমর্থক বাড়ানোর জন্য বিতর্কিত কাউকে দলে না ভিড়াবেন না।

একই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই সফলতার ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবানও জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here