ফাইল ছবি

সবুজদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উদ্যোগে দেশেই প্রোটোটাইপ বিমান তৈরির গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার যশোরে বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর বহরে গ্রোব জি-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন ধরনের বিমান, রাডার যন্ত্রপাতির সুস্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। সম্প্রতি বিমানবাহিনীর উদ্যোগে প্রোটোটাইপ বিমান দেশেই তৈরি করার যে গবেষণা চলছে সেটা আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে।

তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণা, বিমানবাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি আমরা লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং গবেষণা করবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আজ বিমানবাহিনীতে যুক্ত হলো ১২টি প্রশিক্ষণ বিমান। এ বিমানের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। এটা আমরা জার্মান থেকে সংগ্রহ করেছি। আগামীতে আরও কয়েকটি বিমান বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। সে প্রচেষ্টা চলছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৈমানিকদের সঙ্গে কাজ করতে হয় বাংলাদেশকে। ফলে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকেও আধুনিক অস্ত্র বিদ্যায় প্রশিক্ষিত হতে হবে।

তিনি বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে। শুধু আমাদের দেশ নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় আমাদের বাহিনী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়, আমি চাই আমাদের প্রত্যেক বৈমানিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ পাক। আমি সে বিষয়ে গুরুত্ব দিই। আগামীতে বিমান বাহিনীতে বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম যুক্ত হতে যাচ্ছে।

দেশের পররাষ্ট্রনীতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। যুদ্ধে বিশ্বাস করি না। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। যদি আমরা কখনো আক্রান্ত হই, তখন নিজের দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সে কারণে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমানবাহিনী উদ্ধার কাজ করে। কোভিডকালে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ও বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৭ সালে যখন মেজর জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিমানবাহিনীর প্রায় ৬০০ সৈনিককে হত্যা করা হয়েছিল। ২১ বছর পর সরকারে এসে আমরা বিমানবাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিই। বিমানবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন এবং সরঞ্জাম সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here