ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় নিখোঁজের পরের দিন জান্নাত আক্তার (১১) নামের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের মন্দভাগ এলাকার বাঁশঝাঁড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল শেষে দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
জান্নাত ওই এলাকার রফিক মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় মন্দবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁশঝাঁড়ের ভেতরে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জান্নাত গত রোববার (২২ডিসেম্বর) বিকেলে পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকাল ৮টার দিকে জান্নাতের মা পুতুল আক্তার তাদের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি বাঁশঝাঁড়ের ভেতর মেয়ের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়দতন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা তা এখনি বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।