সবুজ দেশ নিউজ ডেস্কঃ

বুধবার ২৪ জুলাই দুপুর। জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল ফটকে একটি দশ বছর বয়সী শিশু আর তার ভাইকে ঘিরে বিশাল এক জটলা। মামলার নথি হাতে দাঁড়িয়ে আছে শিশুটি। কাছে গিয়ে জানা যায় ৬ মাস আগে ধর্ষনের শিকার হয়েছে শিশুটি। সেই বিচার চাইতেই বিভিন্ন দ্বার ঘুরে হাজির হয়েছে প্রেসক্লাবের সামনে।

ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়,  ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ সকালে ত্রিশাল থানার সাখূয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে দশ বছর বয়সী শিশুকে সকালে বাড়ির পাশের দোকানে পাঠায় জিরা আনতে পাঠায় তার মা। কিন্তু পথিমধ্যে ফজলু মৌলভির বাড়ির কাছে পৌছলে চায়ের দোকানদার সুরুজ আলি মন্ডল দশ টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইলেও পায়নি। পরে ঐ মাসের ২৫ তারিখ ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

শিশু কণ্যার ভাই অভিযোগ জানায় মামলা করা হলেও সে বিষয়ে কোন কার্যকরিতা আসেনি। তার অভিযোগ সুরুজ আলি মন্ডল টাকার জোরে মেডিকেল রিপোর্ট পরিবর্তন করে ফেলেছে । এছাড়াও আসামী পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরে চার্যশীট দিয়ে দেয় পুলিশ।

শিশুটির বড় ভাই আল-আমিন  বলেন, আমার ছোট বোনকে জিরা আনতে পাঠানো হয়  বাড়ির পাশের ফারুখের মুদির দোকানে। পরে রাস্তায় অন্য এক  চায়ের দোকানদার সুরুজ আলি মন্ডল দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আমার বোনের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে আমার এলাকার মেম্বার সিদ্দিক মন্ডলের কাছে বিচার দেই। সেই আমাকে বললো, আমি এইটার বিচার করতে পারবো না। তুমি চেয়ারম্যানের কাছে যাও। পরে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকে বলে, আমার কাছে বিচার পাইতে গেলে দেরি হবো। পরে থানায় গিয়ে মামলা দিলাম। মেডিকেল রিপোর্ট করালাম। কিন্তু, টাকা খাওইয়ে আসামী সুরুজ আলী মন্ডল আমার মেডিকেল রিপোর্ট খারাপ করে ফেলেছে। মানে ধর্ষনের কোন আলামতই পাওয়া যায়নি। কিন্তু গ্রামের মানুষ সবাই জানে আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই’। দশ বছর বয়সী শিশুটি বিচার এর দাবি জানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ত্রিশাল থানার এস. আই পলাশ ব্যানার্জী বলেন,এখানে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণ আসেনি। পরে ধষর্ণের চেষ্টায় আমি চার্জশীট দিয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার দিন থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক ছিলো। চার্জশীট দেওয়ার পরে সে বাড়িতে এসেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here