কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট এসেছে গোলাম রসুল(৬২)নামে এক ব্যক্তির।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুরে। গত বুধবার জেলায় নতুন যে ২৭ জন আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে গোলাম রসুল একজন।

গোলাম রসুল বলেন, শরীরে কোনো জ্বর, ঠান্ডা,কাশি কিছুই নেই। বাজারঘাটে যাই বলেই করোনা হতে পারে এ শঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে নমুনা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় আমি নমুনা না দিয়েই ফিরে আসি।

বুধবার আমার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান, জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর নামের সঙ্গে আমার নামও রয়েছে। আমাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।আমি তো নমুনাই দেইনি। তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে? রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ- প্রশাসন আমার বাড়ি লকডাউন করতে আসে।

তারা জানান, বুধবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় যাঁরা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন,তাঁদের তালিকায় আমার নাম ও ঠিকানা রয়েছে। আমি প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।গোলাম রসুল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নূরুন্নাহার বেগম বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। ধারণা করা হচ্ছে গোলাম রসুল নামে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য নাম ঘোষণা করা হলে তাঁর জায়গায় অন্য কেউ নমুনা দিয়েছে। তবে যে নমুনা দিয়েছেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। কারণ তিনি করোনা পজিটিভ। তাঁর মাধ্যমে অনেকে এখন সংক্রমিত হতে পারে।’

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা.এ এইচ এম আনোয়ারুল জানান,একটু ভুল হতেই পারে। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here