হলুদ পোশাক পরিহিত মিরু খা।

ঝিনাইদহঃ

দীর্ঘ এক যুগ পর বিএনপির কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে এলাকায় ভোট চাওয়া উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মিরুখা কে আবার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আনোয়ারুল আজীম আনারের লিফলেট নিয়ে এলাকায় ভোট চাচ্ছেন তিনি। এমন ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আড়পাড়া এলাকায় এক নারীর কাছে ভোট চাচ্ছেন মিরু খাঁ।

এমন বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র সমালোচনা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, সদ্য ঘোষিত পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লান্টুও গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম মসিউর রহমান ও সদস্য সচিব এম. এ মজিদ স্বাক্ষরিত কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে ৪১ ও পৌর শাখাতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পৌর শাখার এই কমিটিতে ২০ নং সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে মিরু খা নামের ওই ব্যক্তির।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি হামিদুল ইসলামের সাথে মিরু খাঁ।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে অধিকাংশ নেতারা এলাকায় থাকেন না। দলের এই দুঃসময়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে পদ পাওয়াটা দুঃখজনক। জেলা কমিটি যাচাই-বাছাই ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা না বলেই কমিটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া উপজেলা কমিটিতে জৈষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে এক জুনিয়রকে যুগ্ম আহ্বায়ক করায় নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া সম্পর্কে পৌর বিএনপির সদস্য মিরু খা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর ভাইরাল হওয়া ছবির কথা জানালে তিনি বলেন, আমি দুই দিন গিয়েছি। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করিনি।

গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আড়পাড়া এলাকায় ভোট চাচ্ছেন মিরু খাঁ।

কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম তোতা বলেন, মিরুখাসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অনেক নেতা নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছে যারা গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে সরাসরি মাঠে নেমে ভোট করেছেন। সে কিভাবে কমিটিতে স্থান পেল তা আমার বোধগম্য নয়। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর কমিটির অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন। আমি এই দুই কমিটির স্থগিত চাই। অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে স্থান পাইনি।

কমিটি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম. এ মজিদ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আপনার মাধ্যমে শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বিএনপির কমিটিতে কিভাবে স্থান পেল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় দল। সামান্য ভুল হতেই পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here