সাতক্ষীরাঃ

মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে শম্ভু। হাঁটতে হাঁটতে পথ ভুল করে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশে। সেই থেকেই শম্ভু সরকার বসবাস করছেন বাংলাদেশে। বর্তমানে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সদরের একটি হোটেলের কর্মচারি শম্ভু সরকার। এখন ফিরতে চাই মা-বোনের কাছে। তবে ফিরে যাওয়ার কোন উপায় জানা নেই শম্ভুর।

শম্ভু সরকার (৩৫) ভারতের নদিয়া জেলার কমলাপুর এলাকার মৃত. রাজেশ্বর সরকারের ছেলে। মা অলোকা রানী ও বোন মহামায়া।

শম্ভু সরকার জানান, ২০০০ সালের দিকে মায়ের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। হাঁটতে হাঁটতে পথ ভুলে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশের যশোরে পৌঁছে যায়। যশোরের একটি খাওয়ার হোটেলে কাজ করতাম। সেখানে একদিন মারপিট করলে সেখান থেকেও বেরিয়ে পড়ি। ঘুরতে ঘুরতে সাতক্ষীরার কলারোয় চলে আসি। এরপর থেকে হোটেলে কাজ করছি। আমি এখন বাড়িতে ফিরতে চাই। মা-বোনের কাছে যেতে চাই।

কলারোয়া সরকারি কলেজ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রনি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক রবিউল ইসলাম জানান, হোটেলে হঠাৎ একদিন শম্ভু খেতে আসে। কিন্তু খাওয়ার পর টাকা দিতে পারছিল না। তারপর আমি ঘটনা জানতে চাই। তখন সে বলেছিল টাকা নেই। কোথায় যাবে সেটিও বলতে পারছিল না। তখন আমার দোকানে থাকার কথা জানালে সে রাজি হয়। সেই ২০০০ সাল থেকেই আমার দোকানে রয়েছে শম্ভু সরকার। আগে খুববেশী কথা বলতে পারতো না। তবে এখন বাড়ির ঠিকানা, মা-বাবা-বোনের নাম পরিচয় সব বলতে পারে। শম্ভু এখন অনেক সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শম্ভুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য অনেককে জানিয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি। আমার বাড়িতে থাকে ও হোটেলে কাজ করে। শম্ভুকে দেশে মা-বোনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি। শম্ভু এখন তার মা-বোনকে দেখতে চাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here