সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মঙ্গলবার শক্তিশালী ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভেঙে পড়েছে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ভবন।

দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ‘আজাদ’ কাশ্মীরের মিরপুর শহর এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার

পাকিস্তানের প্রধান ভূতত্ত্ববিদ মুহাম্মদ রিয়াজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘ভূমকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিরপুর। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে।

গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বড় বড় মহাসড়ক বিশাল ফাটল হয়ে তৈরি করেছে। বিভিন্ন ভবন ও বাড়িঘর ধসে পড়েছে। কিছু কিছু বাড়ির অংশবিশেষ মাটির নিচে তলিয়ে গেছে।

দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আকাশপথে উদ্ধার অভিযান ও চিকিৎসা সেবার জন্য বেশ কিছু উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবারের এই ভূমিকম্পের পর ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের উত্তরাঞ্চল এবং পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভারতের গণমাধ্যমের খবর, রাজধানী নয়াদিল্লি, চন্ডিগড়, কাশ্মীরের পাশাপাশি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও খাইবার পাখুতন-খাওয়া অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

পাকিস্তানের দৈনিক ডন বলছে, পাকিস্তানে ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত কম্পন স্থায়ী ছিল। প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তান ট্যুডে বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝেলুমে।

ডন জানিয়েছে, ইসলামাবাদ ছাড়াও পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন ঘরবাড়ি, অফিস ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। হিন্দুস্তান টাইমস আবহাওয়া দফতরের বরাতে বলছে, পাক-ভারত সীমান্তে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here