পাবনাঃ

অনিয়মের অভিযোগ তুলে পাবনা-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। আজ শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সুষ্ঠু ভোট হবে এবং কাউকে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু তারা সেই কথা রাখেনি। কোনো কেন্দ্রে আমরা এজেন্ট দিতে পারিনি। আমাদের কর্মী-সমর্থক-ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন করিনি। নির্বাচন বর্জন করার প্রশ্নই আসে না। এটা কোনো নির্বাচনই হচ্ছে না। আমি চাই, নির্বাচন কমিশন নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে আবারও ভোটগ্রহণ করবে।’

সাহাপুর এলাকার শহীদ আবুল কাসেম বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৪৮৮ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩২টি ভোট পড়েছে।’

কালীকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মনোজিৎ কর্মকার বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৪৫৭ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩০টি।’

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বিএনপি’র কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। ভোটারের উপস্থিতিও ছিল সামান্য।

এর আগে পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধকরণে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।

গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মৃত্যু বরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য,পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ সংসদীয় আসন। চলতি মেয়াদসহ গত ৫টি মেয়াদে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২ এপ্রিল তিনি মারা যাওয়ায় করায় এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পাবনা-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৮২ হাজার। মোট ১২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৮৮টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ১১শ পুলিশ সদস্য, এক হাজার ৫৪৮ জন আনসার সদস্য ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

উপনির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা ও ঈশ্বরদী উপজেলার তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) এবং জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here