ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের বাজারগুলো এখন পিয়ঁজের জন্য হাহাকার। বাইরের থেকে পিয়াঁজ না আসায় সংকট প্রকট হয়েছে। তাই গৃহস্থররা ইচ্ছামতো দাম হকাচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, পিয়াঁজের বৃহত্তম মোকাম হচ্ছে শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া এলাকার কিছু বাজার। কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম, পানটি, রাজারহাট, শৈলকুপার সানদিয়াড়া, শ্বশানের হাট, খুলুমবাড়িয়া, কাতলাগাড়ী, লাঙ্গলবাধ ও শেকড়া বাজারে প্রচুর পিয়াঁজ উঠছে। এতদিন ঘরে রাখা পিয়াঁজ গৃহস্থরা দাম বেশি পাওয়ায় বাজারে তুলছেন।

ঝিনাইদহের ব্যাবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, তারা ৮ হাজার টাকা মন দরে পিয়াঁজ কিনে ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি করছেন। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ঝিনাইদহের বড় ছোট বিভিন্ন বাজারে খোজ নিয়ে জানা গেছে পাইকারী ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রয় করছে ২০০ টাকা দরে। গত দুদিন আগেও শহরের নতুন হাট খোলা থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ ট বাজার, ওয়াপদা বাজার, পুরাতন হাট খোলা, আরাপপুর কাঁচা বাজার, পাগলাকানাই কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজারে আগুন দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ নতুন হাট খোলা থেকে কয়েকজন পেঁয়াজ ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাজারে এটা একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে।

ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, দেশ স্বাধীনের পর পেঁয়াজের এতো সংকট কখনো দেখেনি। তিনি বলেন, ঝিনাইদহের বাজারে পেঁয়াজের এমন দাম দেখে আমরা হতাশ। এনিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহিনীরা পিয়াঁজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়াঁজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। অনেকে বলেছেন “পিয়াঁজ এমন একটি পন্য যা বাজারে কাঁদাচ্ছে পুরুষকে, আর ঘরে পিয়াঁজ কাটতে গিয়ে কাঁদছে নারী”।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here